বিদ্যাদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার তাৎপর্য মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি। শ্রীশ্রী সরস্বতী মায়ের পূজার দিন। সরস্বতী শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থে 'সরস্+বতু' স্ত্রী লিঙ্গে 'ঈ' প্রত্যয় যুক্ত যোগে 'সরস্বতী'। 'সতত রসে সমৃদ্ধা'। তিনি শুক্লবর্ণা, শুভ্র হংসবাহনা
বিদ্যাদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার তাৎপর্য মাঘ
মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি। শ্রীশ্রী
সরস্বতী মায়ের পূজার দিন। সরস্বতী শব্দটির
বুৎপত্তিগত অর্থে 'সরস্+বতু' স্ত্রী লিঙ্গে 'ঈ'
প্রত্যয় যুক্ত যোগে 'সরস্বতী'। 'সতত রসে
সমৃদ্ধা'। তিনি শুক্লবর্ণা, শুভ্র হংসবাহনা, 'বীণা-রঞ্জিত
পুস্তক হস্তে' অর্থাৎ এক হাতে বীণা ও অন্য হাতে
পুস্তক। সেগুলোর গূঢ় রহস্য তথা যথার্থ তাৎপর্য
হৃদয়ে ধারণ করে মাকে পূজার্চনা করা উচিত। নয়তো
পূজার আড়ম্বরতা যতই হোক না কেন তা অর্থহীন।
শিক্ষার্থীরা দেবী সরস্বতীর পূজা বেশি করে।
কেন? কারণ তিনি জ্ঞানদায়িনী বিদ্যার দেবী
সরস্বতী। বিদ্যা দান করেন তিনি। মানুষ জ্ঞান পিপাসু।
সর্বদা জ্ঞানের সন্ধান করে। 'শ্রদ্ধাবান লভতে
জ্ঞানং তৎপরঃ সংযতেন্দ্রিয়'(শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-৪/৩৯)
অর্থাৎ শ্রদ্ধাবান ব্যক্তি জ্ঞান লাভ করে থাকেন।
শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয় কীভাবে? শ্রদ্ধাবোধ
গড়ে তোলার জন্য পারিবারিক শিক্ষা অতীব
গুরুত্বপূর্ণ। বাল্যকাল থেকেই ধর্মীয় আচার-
আচরণের শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন। সনাতন
ধর্মাবলম্বী ছোটদেরকে ধর্মীয় চেতনা দান
করার জন্য শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা অন্যতম একটি
উৎসব। পূজার আগের দিন সংযম পালন সনাতন
ধর্মাবলম্বীদের গভীর শিক্ষা দেয়। ছোটবেলায়
শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজায় সংযমের দিন মাছ-মাংস
পরিহার, নিরামিষ আহার, আতপ চালের ভাত খাওয়া, উপোস
থাকা সম্ভব হবে কি-না এসব নিয়ে এবং পূজার দিন উপবাস
থাকা, পুষ্পাঞ্জলি অর্পণে হয় আনন্দঘন এক
আয়োজন! আর এ সময়ই একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী
তথা কোমলমতি শিক্ষার্থীও ধর্মীয় চেতনা
পেয়ে থাকে। লক্ষণীয়, আমরা (বড়রা) প্রতিমায়
ভক্তি নিবেদনের ক্ষেত্রে ওই প্রতিমার প্রণাম-
মন্ত্রটুকুও জানি না! প্রণাম নিবেদনেও যে কত
আধুনিকতা যুক্ত হয়েছে, তা ভাবলে অবাক হতে হয়!
শিক্ষার্থীসহ পূজিত সবাই যেন তার তাৎপর্য ও পূজার
মূল আচরণে পূজিত হন সে কথা বিচার্য রেখে তার
বর্ণনায় লক্ষ্য করা যাক:
Created at 2017-01-29 18:30
Back to posts
UNDER MAINTENANCE